এশার নামাজের নিয়ম, নিয়ত ও গুরুত্ব
“এশা” (عشاء) শব্দটি আরবি, যার অর্থ “রাতের প্রথম অংশ”। সালাতুল এশা মুসলমানদের দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের শেষ ও একান্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি আদায় করা হয় রাতের শুরুতে—দিন শেষ করে, যখন আকাশ নিস্তব্ধ অন্ধকারে ঢাকে, ঠিক তখনই শুরু হয় এশার নামাজের সময়।
কুরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে এশার নামাজের গুরুত্ব, ফজিলত এবং পূর্ণাঙ্গ এশার নামাজের নিয়ম, নিয়ত, সময় ও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকছে এই প্রতিবেদনে, ইনশাআল্লাহ।
এই প্রবন্ধটির বিশেষ দুটি দিক রয়েছেঃ
- সংক্ষেপেঃ
যদি আপনি এশার নামাজ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নিতে চান, তবে কেবল নিম্নের অংশটি পড়ুন। - বিস্তারিতঃ
যদি আপনি পূর্ণাঙ্গ এশার নামাজের নিয়ম, নিয়ত, সময় ও ফজিলতপূর্ণ আমল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান, তবে সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি পড়ুন।
এক নজরে সালাতুল এশা
প্রশ্ন | উত্তর |
---|---|
সময় | আকাশে লাল আভা চলে যাওয়ার পর থেকে সুবহে সাদিক (ফজরের পূর্ব মুহূর্ত) পর্যন্ত সময়। |
রাকাত | প্রথমে ৪ রাকাত ফরজ। তারপর ২ রাকাত সুন্নত। শেষে ৩ রাকাত ওয়াজিব (বিতর)। এই ৯ রাকাত ইশার মূল নামাজ। তাছাড়া নফলসহ ১৫-১৭ রাকাত পর্যন্তও পড়া যায়। |
নিয়ত ফরজ ও সুন্নত | আমি কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য এশার ৪/ ২-রাকাত (ফরজ/সুন্নত/নফল) নামাজ আদায় করছি। “আল্লাহু আকবার” |
নিয়ত বেতের | আমি ক্যাবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য ৩ রাকাত ওয়াজিব বেতের নামাজ আদায় করছি। “আল্লাহু আকবার” |
পুরুষ এবং মহিলাদের পার্থক্য | নামাজের মূল কাঠামোতে কোনো পার্থক্য নেই। তবে পোশাক ও পর্দার বিষয়ে আলাদা নির্দেশনা রয়েছে। |
সম্পূর্ণ এশার নামাজ শিক্ষা
দ্বিতীয় অংশে, এশার নামাজের পাঁচটি মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। এসব বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানলে, ইনশাআল্লাহ, আমরা মাগরিব নামাজের পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা লাভ করতে পারব।
- এশার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত
- এশার নামাজের সময় শুরু ও শেষ
- এশার নামাজে নিয়ত
- এশার নামাজের নিয়ম
- এশারের ফজিলতপূর্ণ আমল সমূহ
এশার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত
وَأَقِمْ الصَّلَاةَ لِذِكْرِي
অর্থঃ এবং আমার স্মরণের জন্য নামাজ প্রতিষ্ঠিত করো।
— (সুরা তালাক: ৯)
مَنْ صَلَّى عِشَاءَ فِي جَمَاعَةٍ فَكَأَنَّمَا قَامَ نِصْفَ اللَّيْلِ
অর্থঃ যে ব্যক্তি ইশা নামাজ জামাতে আদায় করবে, সে যেন রাতের অর্ধেক সময় ইবাদত করেছে।
— (সহীহ মুসলিম)
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ: “لَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي العِشَاءِ وَالصُّبْحِ لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا
অর্থঃ যদি মানুষ জানত ইশা ও ফজরের নামাজে কী ফজিলত আছে, তাহলে তারা হামাগুড়ি দিয়েও সেখানে পৌঁছাত।
— (সহীহ বুখারী/সহীহ মুসলিম)
এশার নামাজের সময় শুরু ও শেষ🧭
وَوَقْتُ العِشَاءِ إِلَى نِصْفِ اللَّيْلِ
অর্থঃ ইশার নামাজের সময় রাতের অর্ধেক পর্যন্ত।
— (সহীহ মুসলিম)
ওয়াক্ত শুরু হয়
সূর্য সম্পূর্ণ অস্ত যাওয়ার পর যখন আকাশের লাল আভা (শাফাক) সম্পূর্ণ মিলিয়ে যায়, তখন থেকে এশার নামাজের সময় শুরু হয়।
ওয়াক্ত শেষ হয়
রাতের অর্ধেক সময় পর্যন্ত আদায় করা মুস্তাহাব (সুন্নাতের অনুযায়ী)। তবে কারও বৈধ ওজর থাকলে সুবহে সাদিক (ফজরের আগ মুহূর্ত) পর্যন্ত পড়া জায়েয।
এশার নামাজে নিয়ত
নামাজ শুরুর আগে নিয়ত (ইচ্ছা) করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়তের মাধ্যমে আপনি আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোন নামাজ পড়ছেন তা নির্ধারিত হয়। নিচে প্রতিটি নামাজের নিয়ত উল্লেখ করা হলোঃ
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শঃ আপনি যদি শুদ্ধভাবে আরবি উচ্চারণ করতে না জানেন, তাহলে বাংলায় নিয়ত করাই উত্তম।
প্রথম ৪ রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত আরবি/বাংলা
ভাষা | নিয়ত |
---|---|
আরবিঃ | نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى أَرْبَعَ رَكَعَات صَلَوةِ العِشَاءِ فَرْضُ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ |
বাংলা উচ্চারণঃ | নাওয়াইতোয়ান উছললিয়া লিল্লাহি তায়া’লা আরবা’আ রক’আতি সলাতিল এশায়ি, ফারদুল্লাহি তায়া’লা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতি কা’বাতিশ সারিফাতি “আল্লাহু আকবার” |
বাংলা নিয়তঃ | আমি কেবলামুখী হয়ে এশার ৪-রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করছি। “আল্লাহু আকবার” |
পরবর্তী ২ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত আরবি/বাংলা
ভাষা | নিয়ত |
---|---|
আরবিঃ | نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ العِشَاءِ سُنَّةُ رَسُوْل للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ |
বাংলা উচ্চারণঃ | নাওয়াইতোয়ান উছললিয়া লিল্লাহি তায়া’লা রক’আতাই সলাতিল এশায়ি, সুন্নাতু রসুলিল্লাহি তায়া’লা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতি কা’বাতিশ সারিফাতি “আল্লাহু আকবার” |
বাংলা নিয়তঃ | আমি কেবলামুখী হয়ে এশার ২-রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করছি। “আল্লাহু আকবার” |
শেষের ৩ রাকাত বেতের নামাজের নিয়ত
ভাষা | নিয়ত |
---|---|
বাংলা নিয়তঃ | আমি ক্যাবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য ৩ রাকাত ওয়াজিব বেতের নামাজ আদায় করছি। “আল্লাহু আকবার” |
বাকি সবঃ | এই ওয়েবসাইটে বেতের নামাজ সম্পর্কিত বিস্তারিত একটি প্রবন্ধ লেখা হয়েছে, সহিশুদ্ধ আরবি উচ্চারণসহ বেতরের নিয়ত ও পূর্ণাঙ্গ বেতের নামাজ শিখতে ক্লিক করুন। |
এশার নামাজের নিয়ম ধাপে ধাপে
এশার নামাজের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো জানার পর এখন আসুন শিখে নিই—কীভাবে সঠিকভাবে এশার নামাজ আদায় করতে হয়।
নিচের অংশটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। ইনশাআল্লাহ, এটি আপনাকে সম্পূর্ণ এশার নামাজ সঠিকভাবে আদায় করতে সহায়তা করবে।
এশার ৪রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ম
- নিয়তঃ (মনে মনে নিয়ত করবেন)
- আরবিঃ “نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ العِشَاءِ سُنَّةُ رَسُوْل للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ “اَللَّهُ اَكْبَرُ
- বাংলাঃ আমি কেবলামুখী হয়ে এশার ৪-রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করছি। “আল্লাহু আকবার”
- তাকবীরে তাহরিমাঃ
- “আল্লাহু আকবার” বলে দুই হাত কান পর্যন্ত তুলে নাভির নিচে বাঁধবেন। (মহিলাদের ক্ষেত্রে বুকের উপর)
- তাকবীরে তাহরিমাঃ
- “আল্লাহু আকবার” বলে দুই হাত কান পর্যন্ত তুলে নাভির নিচে বাঁধবেন। (মহিলাদের ক্ষেত্রে বুকের উপর)
- সানা পড়বেনঃ
- শুদ্ধভাবে সানা শিখতে ভিডিওটি দেখুন।
- সূরা ফাতিহা পড়বেনঃ
- আউযুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহসহ সুরা ফাতিহা (আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন… সূরাটি সম্পূর্ণ পড়বেন)
- সূরা ফাতিহা পড়বেনঃ
- আউযুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহসহ সুরা ফাতিহা (আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন… সূরাটি সম্পূর্ণ পড়বেন)
- এরপর আরেকটি সূরা বা আয়াত পড়বেনঃ
- উদাহরণঃ সূরা ইখলাস “কুল হুয়াল্লাহু আহাদ…” (সম্পূর্ণ সূরা) কিংবা কোরআনের যে কোন জায়গা থেকে তিন আয়াত সমপরিমাণ।
- রুকু করবেনঃ
- আল্লাহু আকবার বলে কোমর ভেঙে রুকুতে গিয়ে বলবেন:”সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম” (৩/৫/৭ বার)
- রুকু থেকে উঠবেনঃ
- রুকু থেকে উঠার সময় বলবেনঃ “সামি‘আল্লাহু লিমান হামিদাহ”
- তারপর দাঁড়িয়ে বলবেনঃ রাব্বানা লাকা আল-হামদ”
- সিজদাহ করবেন (দুইবার)
- সেজদায় গিয়ে বলবেন “সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা” (৩/৫/৭ বার)
- দ্বিতীয় রাকাআতের জন্য দাঁড়াবেনঃ
- একইভাবে বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা, রুকু, সিজদা সম্পন্ন করবেন।
- দ্বিতীয় রাকাআতের শেষে তাশাহহুদ পড়বেনঃ
- “আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস সালাওয়াতু…” থেকে “আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু…” পর্যন্ত।
- তারপর দাঁড়িয়ে যাবেন তৃতীয় রাকাআতের জন্য
- তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাআতঃ
- শুধু সূরা ফাতিহা পড়বেন (অন্য সূরা লাগবে না)
- এরপর যথারীতি রুকু, সিজদা করবেন।
- শেষ বৈঠকঃ
- তাশাহহুদ / দরূদ শরীফ / দোয়ায়ে মাসুরা পড়বেন।
- সালাম ফিরাবেনঃ
- ডানে: “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ”
- বাঁয়ে: “আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ”
এশার ২ রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ম
- ২ রাকাত সুন্নতের নিয়ত করবেনঃ
- প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহা ও অন্য সূরা পড়বেনঃ
- দ্বিতীয় রাকাতেও একইভাবেঃ
- শেষে আতাহিয়্যাত, দরুদ, দোয়া মাসুরা ও সালাম দিয়ে নামাজ শেষ করবেনঃ
এশার ৩ রাকাত বেতের নামাজের নিয়ম
- ৩ রাকাত বেতেরের নিয়ত করবেনঃ
- দুই রাকাত পড়ে তৃতীয় রাকাতের জন্য আবার দাঁড়াবেনঃ
- তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতেহা এবং অন্য একটি সূরা পড়ে “আল্লাহু আকবার” বলে আবার হাত বাদ দেন, এবং দোয়ায়ে কুনুত পড়বেন।
- শেষে আতাহিয়্যাত, দরুদ, দোয়া মাসুরা ও সালাম দিয়ে নামাজ শেষ করবেনঃ
এশার বাকি সব নফল নামাজের নিয়ম
এশা সহ অন্যান্য সব নফল নামাজ মূলত একই নিয়মে আদায় করতে হয়। পার্থক্য শুধু নিয়তের ক্ষেত্রে—যেমন তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশ্ত, আওয়াবিন, সালাতুল হাজাত বা তওবা—সবকটিই একই নিয়মে পড়া হয়, শুধু নামাজ শুরুর সময় নিয়তে সেই নামাজের নাম উল্লেখ করতে হয়।
এশারের নামাজের পর ফজিলতপূর্ণ আমল সমূহ
যদি কোনো মুসলমান ব্যক্তি এশার নামাজের পর নিম্নোক্ত আমল করেন, তবে আল্লাহ তা’আলা তাঁর জন্য বিপদমুক্তির পথ খুলে দেন। ইনশাআল্লাহ।
আমলের নিয়ম
- ১০০ বার দরুদ শরীফ পাঠ করুন
- “আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ”
- কিছুক্ষণ পরে পরে পড়ুন (“সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”)
- ৪৯৯ বার পড়ুন
- “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ”
- ১ বার পড়ুন
- “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিইয়্যিল আজিম”
- সবশেষে আবার ১০০ বার দরুদ শরীফ পাঠ করুন
- “আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ”
- কিছুক্ষণ পরে পরে পড়ুন (“সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম”)
ফলাফল (ইনশাআল্লাহ)
যদি কেউ এই আমল বিশ্বাস ও একাগ্রতার সঙ্গে লাগাতার কয়েকদিন করে, আল্লাহর রহমতে সে ব্যক্তি বিপদ, কষ্ট ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি লাভ করবে।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
এশার নামাজের ওয়াক্ত কখন শুরু হয়?
আকাশে লাল আভা চলে যাওয়ার পর থেকে।
এশার নামাজের ওয়াক্ত কখন শেষ হয়?
বহে সাদিক (ফজরের পূর্ব মুহূর্ত) পর্যন্ত ।
রাত ১২টার পর এশার নামাজ পড়া যাবে কি?
জি হ্যাঁ করা যাবে। কারণ এশার নামাজের সময় আকাশে লাল আভা চলে যাওয়ার পর থেকে সুবহে সাদিক (ফজরের পূর্ব মুহূর্ত) পর্যন্ত বাকি থাকে।
এশার নামাজের উত্তম সময়?
রাতের অর্ধেক সময় পর্যন্ত আদায় করা মুস্তাহাব (সুন্নাতের অনুযায়ী)। তবে কারও বৈধ ওজর থাকলে সুবহে সাদিক (ফজরের আগ মুহূর্ত) পর্যন্ত পড়া জায়েয।
মসজিদে এশার নামাজ কিভাবে পড়তে হয়?
পুরুষের জন্য সকল ফরজ নামাজ জামাতের সহিত মসজিদে পড়া (সুন্নতে মুয়াক্কাদা) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেবলামুখী হয়ে ইমামের পেছনে চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায়ের নিয়ত এবং ইমামকে অনুসরণ করবেন।
এশার চার রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত কী?
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى أَرْبَعَ رَكَعَات صَلَوةِ العِشَاءِ فَرْضُ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
অনুবাদঃ নাওয়াইতোয়ান উছললিয়া লিল্লাহি তায়া’লা আরবা’আ রক’আতি সলাতিল এশায়ি, ফারদুল্লাহি তায়া’লা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতি কা’বাতিশ সারিফাতি “আল্লাহু আকবার”
বাংলাঃ আমি কেবলামুখী হয়ে এশার ৪-রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করছি। “আল্লাহু আকবার”
এশার তিন রাকাত বেতের নামাজ কিভাবে পড়তে হয়?
1/ বেতেরের নিয়ত করবেনঃ
2/ দুই রাকাত পড়ে তৃতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াবেনঃ
3/ তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতেহা এবং অন্য একটি সূরা পড়ে “আল্লাহু আকবার” বলে আবার হাত বাদ দেন, এবং দোয়ায়ে কুনুত পড়বেন।
4/ শেষে আতাহিয়্যাত, দরুদ, দোয়া মাসুরা ও সালাম দিয়ে নামাজ শেষ করবেনঃ
এশার নামাজ কাজা কখন পড়তে হয়?
যেকোনো কাজা নামাজের নির্দিষ্ট কোন সময় নেই আপনার সুযোগ মতো আদায় করবেন। তবে বিলম্ব করা উচিত নয়।