যেসব কারণে নামাজ কাজা করা যায় জেনেনিন
ইসলামের পাঁচটি মূল বৃত্তির মধ্যে নামাজ অন্যতম। নামাজ সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কালামুল্লায় একাধিকবার এবং রসূল সাঃ এর অসংখ্য হাদিস রয়েছে। নামাজ পড়া যেরকম ফরজ ঠিক নামাজ সম্পর্কিত সকল মাসয়ালা মাসায়েল সম্পর্কেও অবগত থাকা জরুরী।
মহান প্রভু দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের নির্দেশ যেমন দিয়েছেন, ঠিক বান্দার সুবিধার্থে কাজা করারও অপশন দিয়েছেন। কারণ ইসলাম সহজ, কারোর উপর বিন্দুমাত্র জুলুমও মহান প্রভুর পক্ষ থেকে আরোপ করা হয়নি।
ইতিপূর্বে কাজা নামাজের বিবরণ এবং বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার পর এই আর্টিকেলটিতে যেসব ওজরের কারণে নামাজ কাজা করা জায়েজ তা জানব, কারণ একজন মুসলিম হিসেবে এ সমস্ত বিধি-বিধান সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান থাকা অনিবার্য।
যেসব কারণে নামাজ কাজা করা যায়
নিম্নলিখিত ওজরগুলি শরীয়ত সম্মত ভাবে নামাজ কাজা করা জায়েজ। অর্থাৎ এতে কোন গুনাহ হবে না তবে পরবর্তীতে কাজা আদায় করে নিবে।
শত্রুর ভয়ঃ-
যদি কারো মনে এরুপ ধারণা জন্মে যে, শত্রু অতি নিকটে। সে যদি নামাজে দাঁড়ায় তাহলে শত্রু তার উপর আক্রমন করবে। এমতাবস্থায় নামাজ কাজা করা জায়েজ। (ফাতাওয়া ও মাসাইল)
মুসাফিরঃ-
মুসাফির যদি এরুপ ধারণা করে যে, যদি সে নামাজে দাঁড়ায় তাহলে তারা মালপত্র সবকিছু চুরি হয়ে যাবে তাহলে উক্ত মুসাফিরের জন্য নামাজ কাজা করা জায়েজ। (ফাতাওয়া ও মাসাইল)
ধাত্রীঃ–
সন্তান প্রসবকালে ধাত্রীর জন্য নামাজ কাজা করা জায়েজ। কারণ ধাত্রীর সামান্য বিলম্বের কারণে মা ও শিশুর মারাত্বক ক্ষতি হতে পারে (গায়াতুল আওতার) ।
মনের ভুলেঃ-
যদি কেউ নামাজের কথা ভুলে যায় এবং নামাজের টাইম অতিবাহিত হওয়ার পর মনে পড়ে তাহলে তার জন্য নামাজ কাজা আদায় করা ফরজ।
ঘুমঃ-
কেউ যদি ঘুমিয়ে থাকে এবং ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর ঘুম ভাঙ্গে। এই বিলম্বের কারণে তার কোন কোন হবে না। কিন্তু উক্ত নামাজ কাজা আদায় করা ফরজ।
পরিসংহার
উল্লেখ্য শরীয়ত সম্মত কারনে নামাজ কাজা হলে কোন গুনাহ হবে না। অন্যথায় অন্য কোন কারণে নামাজ কাজা হয়ে থাকলে গুনাহ হবে। অবশ্য উভয় ক্ষেত্রেই পরবর্তীতে কাজা নামাজের নিয়ম অনুসারে নামাজ কাজা করা ফরজ।